প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকে প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে সারাটা জীবন পার করে দেয়ার। তাই ভালোবাসার মানুষটিকে তারা আগলে রাখতে চান সব সময়। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে সব সম্পর্ক সব সময় একরকম থাকে না। সুখের সময় যত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়, দুঃখের সময় যেন তার চেয়েও বেশি সময় স্থায়ী হয়। আর এ অসময়টা অতিবাহিত করতে গিয়েই সৃষ্টি হয় নানা সমস্যার। তাই ভালোবাসাময় জীবনে এ অসময়টাকে মোকাবিলা করতে হয় খুব ঠাণ্ডা মাথায়, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। অবশ্যই একা একা নয়, প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখেই।
সামান্য দ্বন্দ্বে ভালোবাসার মানুষকে দূরে ঠেলে দেবেন না। শত বিপত্তির মধ্যেও প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে অনেক পথ একসাথে হাঁটবেন সে সিদ্ধান্তটা আগে নিয়ে ফেলুন।
ভালোবাসার সম্পর্কে যদি কোনো ঝামেলা তৈরি হয়ে যায় তবে অল্পতেই অধৈর্য হওয়া ঠিক নয়। কী কারণে ঝামেলা তৈরি হলো সেটা আগে খুঁজে বের করা উচিৎ। এরপর দুজন মিলেই তার সমাধান করতে হবে।
সম্পর্কের মাঝে খুব বেশি ক্ষতিকর হচ্ছে ‘সন্দেহ’। তাই এ জিনিসটিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া ঠিক নয়। সেজন্য প্রিয়মানুষটির মনে সন্দেহের দানা বাঁধে এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
পরিবারের অনুমতি নিয়ে সবাই ভালোবাসে না। তাই মনের মানুষটিকে আপনার পরিবার সহজেই মেনে নেবে এটা ভাবা ঠিক না। সেজন্য ভালোবাসার পাশাপাশি পরিবারের কথাটাও মাথায় রাখুন। আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখুন কীভাবে পরিবারের কাছে আপনার সম্পর্ককে প্রতিষ্ঠা করবেন।
আপনি প্রচণ্ড রাগী স্বভাবের একজন মানুষ। তাই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে আপনার ঝগড়া লেগেই থাকে। কিন্তু সম্পর্ক সুন্দর রাখতে হলে এ বদ স্বভাবটা পরিবর্তন করা বাধ্যতামূলক।
পরিস্থিতি না বুঝে অহেতুক কোনো আবদার করা ঠিক না। মনের মানুষের কাছে এমন আবদার করুন যা পূরণ করা তার পক্ষে সম্ভব হবে।
প্রিয় মানুষটির প্রতি আস্থা রাখুন, তবে চোখ বন্ধ করে না। কারণ অন্ধ ভালোবাসা অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে।
প্রতিটি মা-বাবাই সন্তানকে ভালোবাসেন, সন্তানের জন্য চিন্তা করেন। তাই কোনো সম্পর্ক গড়ার আগে একবার তাদের কথাটাও মাথায় রাখুন।
মানের মানুষকে গুরুত্ব দিন, সম্মান করুন। তার কাজের প্রসংশা করুন, তাকে ভালো কাজে উৎসাহ দিন। আপনার এধরনের কাজ তাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।
যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রিয় মানুষটির কাছে থাকুন, তাকে সাপোর্ট দিন। দুর্দিনে তার সঙ্গ ত্যাগ করবেন না।
নিজেকে যোগ্য করে তুলুন। কারণ অযোগ্য পাত্রের হাতে কেউ মেয়েকে তুলে দিতে চায় না।
সবশেষে ভালোবাসুন নিঃস্বার্থভাবে, হৃদয় থেকে। বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাইবেন না।